উদ্ভাস

১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা, অক্টোবর ২০১২

আজম মাহমুদ

চন্দনে রাঙা তরবারী


চন্দনে রাঙা তরবারী আমার শরীরের উপাদেয় অস্ত্র- তোমাকে দেখলেই খাপখোলা
তলোয়ার। অথচ আর কোনও বনে গিয়ে হরিণ শিকার ভুলে যায়। কোন মতেই নাঙা তরবারী
ক্ষেপে ওঠে না। সেই তলোয়ার হারালো গন্ধটুকুও তোমার শরীরের। আর কি করে
বেঁচে থাকার উপযোগীতা অবশিষ্ট থাকে! সবকিছু হারিয়ে যদি বজায় থাকতো রাঙা
তরবারীর জৌলুস!

আজ তুমি হারিয়েছো- মানে সব হারিয়েছে। আমার খাপখোলা তলোয়ার এখন নিরিহ
প্রজাপতি! চন্দনে রাঙা তরবারী লুকিয়ে রাখি সযত্নে যদি কোন দিন তোমার
শরীরের চেনা গন্ধ ফিরে আসে...


সব বোঝ, মন বোঝ না



স্বপ্নে পরিপক্ষ বাতাসের বীজ আলো অন্ধকারে ডুব দিয়ে ফিরে যাওয়া হৃদয়ের

রূপালী চত্ত্বরে। বিরামহীন পথপরিক্রমায় চর্ব্বিত চয়ন উল্লাস দিকভ্রমণ
সমাজসেবার নায়কগণ। বারবার টেনে নিয়ে যায় আক্ষরিক সফলতায়- কোন মন ভাঙ্গে,
পোড়ে বৃথাসব চিন্তাফলক। এরপর যুগযুগ কষ্ট আর কান্না বাতাসে ভর করে ঘুরে
ফিরে কানে কানে।

একবার ভেঙ্গে দিলে, জোড়ানোর প্রচেষ্টা নেই এতোটুকু। নায়কমন (নায়িকামনও)

ঘুনলাগা আসবাবের মতো চৌচির ভেতরে ভেতরে। অনায়াসে যেই মন পূর্ণ করা যেতো-
কি গভীর কষ্টে ক্ষয়ে ক্ষয়ে ব্যথায় ব্যথায় কাটায় সারাজীবন।