নৃপেন ঘোষের ভোটাধীকার
এবার আমি প্রথমবার
ভোট দিয়েছি এক কাল পর্দার আড়ালে;
আমার মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করেছি।
আমার প্রশ্ন জাগে আমি স্বাধীন কিনা-
এ আমার মৌলিক অধিকার কিনা?
আমি কাল পর্দার আড়ালের চাইতে সবার সম্মুখে
আমার স্বধীন মতামত
আমার ভাললাগা
আমার প্রতিনিধী
জানিয়ে দিতেই বেশি আগ্রহী।
শুধু আমি স্বাধীন নই বলে-
আমার ভোটাধীকারে গোপনীয়তা।
শুধু আমার নিরাপত্তার অভাব বলে
আমি অঘোষিত দায়বদ্ধ বলে
রাষ্ট্র আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছে।
এক কাল পর্দার আড়ালে- নিরাপত্তা....!
শীষ, নৌকা, লাঙল কিংবা হাতুড়ী
প্রতীক বেছে নিতে কোন অসুবিধা হয়নি!
আমি অবাক হই- যখন মনে হয়
আমার মনোনিত- নির্বাচিত
কী পরাজিত কেউ জানেনি।
সুতরাং আমার প্রার্থী তো নির্বাচিতই।
সত্যিই নিখুঁত নিরাপত্তা...
কিন্তু এই যে "নিখুঁত" শব্দটি
তা আমার জন্য নয়।
আমি যে নৃপেন ঘোষ।
আমার বাবা রবীন্দ্র ঘোষ।
আমার সংশয় জাগে
এই যে নিখুঁত নিরাপত্তার কাল পর্দা-
প্লেইন কিংবা টুইল বুননীতে বুনা-
এর দুই সুতার মাঝের বন্ধনীতে
অতি সূক্ষ ফাঁক থেকে যাওয়া আবশ্যক।
কাজেই ইব্রাহীম মল্লিকের কর্মী মতিউর
আবার সীল-সম্বলীত প্রতীকটা
দেখে ফেলেনিতো?
দেখলেও খুব একটা চিন্তার ছিল না
আমি যদি শামীম মন্ডল কিংবা মাসুম বিল্লাহ্ হতাম।
যাক- এতসব দেখে আমার কাজ নেই।
তার চাইতে বরং আমার দু'বছরের ছোট স্বরসতী ঘোষ-
তার স্কুলে যাওয়াটাই বন্ধ করে দিই।
বাবা অনেক সাধ করে রেখেছিলেন-স্বরসতী;
হবে বিদ্যায়-বুদ্ধিয় অনন্যা।
এবারই আমার প্রথম ভোট প্রয়োগ
এবং স্বরসতীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ!
এতে বরং ক্ষতি নয়- লাভই হল
এক. আমার চিন্তা-মুক্তি
দুই. বঙ্গীয় নারীর ঐতীহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা!
এতেই কি মুক্তি পাওয়া যাবে-
অঘোষিত দায়বদ্ধতা থেকে-
গেছে-? (আমি উত্তেজিত হয়ে উঠি;
একি উত্তেজনা(!)-
নিজের ব্যর্থতাকেই ফিরে ফিরে দেখা)
আমার বাড়ির বাংলা ঘরটি- মতিউর,
শামীমদের হাত থেকে কিংবা
স্বরসতীর ইজ্জত- মায়ের চোখের সামনে
রক্ষে হয়নি।
আমি বাড়ি ফিরে দেখেছি
বোনের লাশ(আত্মহত্যা) আর
মায়ের অশ্রু-শুন্য চোখ।
নিজের প্রতি আমার ধিক্ জাগে-
এসব আমারই জন্যে।
আমাকেও বাড়িতে পেলে আমার প্রান নিয়ে-
তবুও যদি স্বরসতীর ইজ্জত
কিংবা মায়ের চোখের জল না শুকাতো...।
এসবকে আমি সন্ত্রাসবাদ বলব
সে সাধ্য কই! শুধু বলব-
এসবের নাম যদি স্বাধীনতা হয়
তবে কি দরকার এরিস্টটল, লিঙ্কন
প্রমূখ রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের বস্তা-পঁচা স্বধীনতার
সংজ্ঞা জেনে? এ বাংলায়
স্বধীন চেতা মানুষের অভাব নেই!
সব হারিয়েছি বলে রাষ্ট্রের প্রতি অভিযোগ নেই।
অভিযোগ আমার বাবার প্রতি
বাবা নির্বোধ ছিলেন এবং আমি তার আদর্শে মানুষ বলে
আজও আমি নৃপেন ঘোষ।
আজও আমরা সংখ্যালঘু।
এবার আমি প্রথমবার
ভোট দিয়েছি এক কাল পর্দার আড়ালে;
আমার মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করেছি।
আমার প্রশ্ন জাগে আমি স্বাধীন কিনা-
এ আমার মৌলিক অধিকার কিনা?
আমি কাল পর্দার আড়ালের চাইতে সবার সম্মুখে
আমার স্বধীন মতামত
আমার ভাললাগা
আমার প্রতিনিধী
জানিয়ে দিতেই বেশি আগ্রহী।
শুধু আমি স্বাধীন নই বলে-
আমার ভোটাধীকারে গোপনীয়তা।
শুধু আমার নিরাপত্তার অভাব বলে
আমি অঘোষিত দায়বদ্ধ বলে
রাষ্ট্র আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছে।
এক কাল পর্দার আড়ালে- নিরাপত্তা....!
শীষ, নৌকা, লাঙল কিংবা হাতুড়ী
প্রতীক বেছে নিতে কোন অসুবিধা হয়নি!
আমি অবাক হই- যখন মনে হয়
আমার মনোনিত- নির্বাচিত
কী পরাজিত কেউ জানেনি।
সুতরাং আমার প্রার্থী তো নির্বাচিতই।
সত্যিই নিখুঁত নিরাপত্তা...
কিন্তু এই যে "নিখুঁত" শব্দটি
তা আমার জন্য নয়।
আমি যে নৃপেন ঘোষ।
আমার বাবা রবীন্দ্র ঘোষ।
আমার সংশয় জাগে
এই যে নিখুঁত নিরাপত্তার কাল পর্দা-
প্লেইন কিংবা টুইল বুননীতে বুনা-
এর দুই সুতার মাঝের বন্ধনীতে
অতি সূক্ষ ফাঁক থেকে যাওয়া আবশ্যক।
কাজেই ইব্রাহীম মল্লিকের কর্মী মতিউর
আবার সীল-সম্বলীত প্রতীকটা
দেখে ফেলেনিতো?
দেখলেও খুব একটা চিন্তার ছিল না
আমি যদি শামীম মন্ডল কিংবা মাসুম বিল্লাহ্ হতাম।
যাক- এতসব দেখে আমার কাজ নেই।
তার চাইতে বরং আমার দু'বছরের ছোট স্বরসতী ঘোষ-
তার স্কুলে যাওয়াটাই বন্ধ করে দিই।
বাবা অনেক সাধ করে রেখেছিলেন-স্বরসতী;
হবে বিদ্যায়-বুদ্ধিয় অনন্যা।
এবারই আমার প্রথম ভোট প্রয়োগ
এবং স্বরসতীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ!
এতে বরং ক্ষতি নয়- লাভই হল
এক. আমার চিন্তা-মুক্তি
দুই. বঙ্গীয় নারীর ঐতীহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা!
এতেই কি মুক্তি পাওয়া যাবে-
অঘোষিত দায়বদ্ধতা থেকে-
গেছে-? (আমি উত্তেজিত হয়ে উঠি;
একি উত্তেজনা(!)-
নিজের ব্যর্থতাকেই ফিরে ফিরে দেখা)
আমার বাড়ির বাংলা ঘরটি- মতিউর,
শামীমদের হাত থেকে কিংবা
স্বরসতীর ইজ্জত- মায়ের চোখের সামনে
রক্ষে হয়নি।
আমি বাড়ি ফিরে দেখেছি
বোনের লাশ(আত্মহত্যা) আর
মায়ের অশ্রু-শুন্য চোখ।
নিজের প্রতি আমার ধিক্ জাগে-
এসব আমারই জন্যে।
আমাকেও বাড়িতে পেলে আমার প্রান নিয়ে-
তবুও যদি স্বরসতীর ইজ্জত
কিংবা মায়ের চোখের জল না শুকাতো...।
এসবকে আমি সন্ত্রাসবাদ বলব
সে সাধ্য কই! শুধু বলব-
এসবের নাম যদি স্বাধীনতা হয়
তবে কি দরকার এরিস্টটল, লিঙ্কন
প্রমূখ রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের বস্তা-পঁচা স্বধীনতার
সংজ্ঞা জেনে? এ বাংলায়
স্বধীন চেতা মানুষের অভাব নেই!
সব হারিয়েছি বলে রাষ্ট্রের প্রতি অভিযোগ নেই।
অভিযোগ আমার বাবার প্রতি
বাবা নির্বোধ ছিলেন এবং আমি তার আদর্শে মানুষ বলে
আজও আমি নৃপেন ঘোষ।
আজও আমরা সংখ্যালঘু।