তিনটি কবিতা
দিগ্বলয়
কষ্টের উড়ান পাখা মেলে দিই
কাঁটাঝোপ অস্থির যন্ত্রণার মৃদঙ্গ নিঃশ্বাস
দিগ্বলয়ে মেলে রাখা থ্যাঁতলানো স্বপ্নের কুঁড়ি
অদ্ভুত বিপরীত দুই দিকে উন্মাদ টানটানি করে
এখানে অনন্ত একা চেয়ে দেখে স্বপ্ন আয়নায়.
পারা চটে গিয়ে এক উচাটন ভাঙা চোরা জবালাল পোড়াগন্ধ রূপ -
সময় হাঁটছে একা, বইবার সাধ ছিল তাঁর ...
এখন অন্যত্র থাকে স্বপ্ন সন্ধানে -
যদি কেউ ভেসে যেতে চায়।
আগমনী
এক চিলতে রোদের বাথানে মেঘগুলো
জড় হয়ে টুপ টাপ চুপ চাপ ঘন হচ্ছিল
বিকেলের বারান্দায়...
এক হাতে নেবে আসা আঁধার ছিলিম
অন্য হাতে ডুবে যাওয়া সূর্যের রূপটান আলোর ঝিলিক
দিনটার গভীর আবেশ
সময়ের উড়ান যেন চাঁদের অপেক্ষায় লিপস্টিক ঠোঁট
একবুক জল নিয়ে মেঘগুলো পৃথিবীর দিকে
বড় মায়ায় তাকায়
মাটির অপক্ষা বর্ষার আদর খেয়ে
ধুলো গন্ধ সোঁদা স্বপ্নে ভরে যাবে
পৃথিবী সুধন্যা হবে
সময়ের ঘর তাই মেঘের গম্বুজে
শিল্পী
স্মৃতির চারু ডাক - কিছুটা উসখুসানি - অল্প নাভিশ্বাস
কিছু কিছু স্বপ্ন, প্রেম, কলকণ্ঠ হাঁসি, ব্যাক্তিগত গোপন রমণী -
অতঃপর উপাংশে নগ্নতার মুখ থেকে
পা অবধি খুটিয়ে দেখেছি -
খানদানি চর্যাপদী কদগ্নি মতলব
কিছুটা শিল্পীর চোখ বাকিটা অনঙ্গের অজা ইরাদা
আমি তার সারাৎসারে শুধু ডীপ ইয়েলো ভরে গেছি ...